বুধবার, ডিসেম্বর ২৪, ২০২৫

সেন্ট মার্টিন থেকে আসার পথে স্পিডবোট উল্টে মা-মেয়ের মৃত্যু

Must read

কক্সবাজারের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ থেকে টেকনাফের শাহ পরীর দ্বীপে যাওয়ার পথে স্পিডবোট উল্টে মা-মেয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে নৌপথটির ‘গরারচর’ মোহনায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তিরা হলেন সেন্ট মার্টিন দ্বীপের মাঝরপাড়ার বাসিন্দা নাজির আহমেদের মেয়ে মরিয়ম আক্তার (৩৫) ও তাঁর শিশু মেয়ে মাহিমা খাতুন (৬)। আহত ব্যক্তিদের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্পিডবোটটিতে চালকসহ আটজন ছিলেন। ডুবোচরে উল্টে পড়ার পর তাঁদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে চারজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।

সেন্ট মার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফয়জুল ইসলাম বলেন, শাহপরীর দ্বীপের দক্ষিণে বদরমোকাম ঘোলারচড় এলাকায় ডুবোচরের সৃষ্টি হয়েছে। ভাটার সময় এই চরের কিছু অংশ দেখা গেলেও জোয়ারের সময় এটি অদৃশ্য থাকে। এই ডুবোচরেই দ্রুতগতির স্পিডবোটটি উল্টে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আসিফ আলভি বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই মা-মেয়ের মৃত্যু হয়েছে। অন্য দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।’

স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা জানান, টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন পর্যন্ত ৩৪ কিলোমিটারের এই নৌপথে যাত্রী পরিবহন করছে ৫০টির বেশি স্পিডবোট। অধিকাংশ স্পিডবোটের চলাচলের বৈধ লাইসেন্স নেই। কিছু স্পিডবোট চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ছোট আকৃতির এসব স্পিডবোট এরপরও ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে।

নাম প্রকাশ না শর্তে একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, ‘ঘাটে ঘাটে ম্যানেজ করে স্পিডবোটগুলো চলাচল করছে। অধিকাংশ স্পিডবোটে লাইফ জ্যাকেটই রাখা হয় না। চারজন ধারণক্ষমতার স্পিডবোটে ওঠানো হয় ৭ থেকে ১০ জন।’

সম্প্রতি বিআইডব্লিউটিএ স্পিডবোটগুলোকে লাইসেন্সের আওতার নিয়ে আসার উদ্যোগ নিয়েছে। অনলাইনে ফরম পূরণ করে স্পিডবোটের বিপরীতে লাইসেন্স দেওয়া হচ্ছে।

- Advertisement -spot_img

More articles

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisement -spot_img

Latest article