
কম বয়সে স্ট্রোক হচ্ছে অনেকেরইছবি: পেক্সেলস
সাফল্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে জীবনকে উপভোগ করতে ভুলে গেছেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। যুগটা প্রতিযোগিতার। অন্যদের তো বটেই, নিজেকেও ছাপিয়ে যাওয়ার চ্যালেঞ্জ এখন নিজের সামনে।
চ্যালেঞ্জটা নিতে পারলে সাফল্য মিলছে ঠিকই। তবে প্রশান্তি মিলছে না তাতেও। ক্রমাগত চাপে থাকাটা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ। এমন চাপে স্ট্রোকের ঝুঁকিও বাড়ে
মিলেনিয়াল অর্থাৎ ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে যাঁদের জন্ম, তাঁরা এখন ক্যারিয়ার কিংবা সংসারজীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ সময় পার করছেন। অন্যদিকে জীবন গড়ার লড়াইয়ে আছেন জেন-জিরা। ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে তাঁদের জন্ম।
তবে জীবনকে সুন্দর করে তুলতে গিয়ে যে ধারায় জীবন যাপন করছেন এই দুই প্রজন্মের মানুষ, তাতেই বাড়ছে স্ট্রোকের ঝুঁকি।

ঘুমহীন রাত
সুস্থতার অন্যতম প্রধান শর্ত রাতের ঘুম। প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির রোজ সাত-নয় ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। এই ঘুম হতে হবে নিরুদ্বেগ, প্রশান্তিদায়ক। কিন্তু পড়াশোনা, পেশাগত কাজ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সময়যাপনসহ নানা কারণে রাত জাগেন মিলেনিয়াল ও জেন-জিরা। মানসিক চাপে থাকায় ঘুমের সমস্যায়ও ভোগেন অনেকে। সব মিলিয়েই বাড়ে স্ট্রোকের ঝুঁকি।
আরও যেসব কারণে ঝুঁকি বাড়ছে
- প্রক্রিয়াজাত ও পরিশোধিত (রিফাইনড) খাবার গ্রহণের প্রবণতা বেড়েছে এই দুই প্রজন্মের মানুষদের মধ্যে। এসব খাবার স্বাস্থ্যকর নয়। রান্নাবান্নার ঝামেলা এড়াতে প্রায়ই অনেকে বাইরের খাবার খেয়ে নেন। অথচ অনেক দোকানেই ব্যবহার করা হয় অস্বাস্থ্যকর তেল।
- অনেকেই দীর্ঘ সময় বসে কাজ করেন। একটানা বসে থাকার অভ্যাসে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে। তাই থাকতে হবে সচল।
- ধূমপান ও মদ্যপানে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। এমন এক সময় ছিল যখন বয়োজ্যেষ্ঠ ব্যক্তি, নারী বা শিশুরা সামনে থাকলে অনেকেই ধূমপান করতেন না। সামাজিক কারণেই কিছুটা সংযত থাকতেন তাঁরা। তবে এখন প্রকাশ্যেই ধূমপান চলে অনায়াস। ফলে বাড়ে ধূমপানের পরিমাণ ও স্বাস্থ্যঝুঁকি।
সুস্থ থাকতে
- যেসব কারণে স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে, সেগুলোর বিষয়ে যত্নশীল হতে হবে সবাইকেই। জীবনধারা হতে হবে স্বাস্থ্যকর। মনে রাখতে হবে, সাফল্যের চেয়ে সুখ বড়। তাই উপভোগ করুন জীবনটাকে।
- উদ্ভিজ্জ খাবার গ্রহণের অভ্যাস গড়ে তুলুন। নিয়মমাফিক শরীরচর্চা করুন। যেকোনো কাজের মধ্যে বিরতি নিন। চেয়ার ছেড়ে উঠুন। সচল রাখুন নিজেকে।
- সময় করে ঘুরতে যান। প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটান, যতটা পারেন। নিয়মিত প্রিয়জনকে সময় দিন। সম্পর্কের যত্ন নিন। আর অবশ্যই ঠিকঠাক ঘুমান।

