রাজধানীর রমনা এলাকার সিদ্ধেশ্বরী কলেজটি এখনো ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার দোসরদের দিয়ে পূর্ণ। কলেজের শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের ৭০ জন শিক্ষকের বাড়ি ভোলাতে। হাসিনার আমলের স্থানীয় এমপি নুরুননবী চৌধুরী শাওনের বাড়ি ভোলা হওয়ায় তিনি সিদ্ধেশ্বরী কলেজে সব ভোলার লোকদের নির্বিচারে চাকরি দিয়ে গেছেন। ৭০ জন শিক্ষক ছাড়াও কলেজটিতে শতাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারির বাড়ি ভোলাতে। এছাড়া এমপি শাওনের নিয়োগ দেয়া অধ্যক্ষ বাগেরহাটের শেখ জুলহাস উদ্দিন এখনো বহাল তবিয়তে জামায়াতের সাথে হাত মিলিয়ে অবস্থান করছেন। কলেজটির নতুন গভার্নিং বডির সভাপতি বগুড়ার তাহসিনুর রহমানও নানান ভাবে দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন কলেজের ক্ষমতার ভাগাভাগি নিয়ে।
কলেজের কয়েকজন শিক্ষক ও শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী জুলাই বিপ্লবে যেসব শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছিলেন তাদের কলেজ থেকে বহিস্কারের পায়তারা করছেন অধ্যক্ষ শেখ জুলহাস ও সভাপতি তাহসিনুর রহমান। শিক্ষার্থীদের টুটি চেপে ধরতে তারা নানান ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এই শেখ জুলহাসের নেতৃত্বে জুলাই আন্দোলনে সড়কে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার হয়েছিলো বলেও অভিযোগ করেন তারা।
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের কলেজে আশ্রয় প্রশ্রয়ও দিচ্ছেন শেখ জুলহাস ও তাহসিনুর রহমান বলেও অভিযোগ উঠেছে।

