ফরিদপুর-১ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী হতে পারেন জয়দেব রায় জয়। ভোটাররা বলছেন, হিন্দু ভোটার রয়েছে এই আসনে সোয়া ১ লাখের মতো। মোট ভোটার রয়েছে প্রায় ৪ লাখ ৪০ হাজার। সেই হিসেবে জয়দেব নির্বাচকদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু ফরিদপুর-১ আসন থেকে বিএনপি’র এখনো কোনো প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়নি। এ আসনটি মিত্রদের ছেড়ে দেওয়া হবে কি-না তাও স্পষ্ট নয়।
ফরিদপুর-১ আসন বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলফাডাঙ্গা উপজেলা নিয়ে গঠিত।
যদিও এই নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির দুটি গ্রুপ সক্রিয়। একটি সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের। অপর গ্রুপ ভিপি সামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর।
গত ২৩ অক্টোবর ফরিদপুরের বোয়ালমারী, মধুখালী ও আলফাডাঙ্গার উপজেলা ও পৌর বিএনপির ছয়টি সাংগঠনিক কমিটির অনুমোদন দিয়েছে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা ও সদস্য সচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপনের স্বাক্ষরে ওই ছয়টি কমিটি ঘোষণা করা হয়। ওই কমিটিগুলোতে খন্দকার নাসিরের অনুসারীদের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল।
তবে লাখো হিন্দু অধ্যুষিত ফরিদপুর ১ আসনে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছেন ছাত্রদলের সাবেক নেতা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সহসভাপতি ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সাংগঠনিক সম্পাদক জয়দেব রায় জয় বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়ে একটি টিঠি দিয়েছেন। তাতে তিনি লিখেছেন, ১৭ বছরে হাসিনা তার বিরুদ্ধে ৩৭টি মামলা করেছে এবং বহু বার জেল জুলুম খেটেছেন। পুলিশের গুলিতে পরিকল্পিত ভাবে খুন হওয়া খিলগাও ছাত্রদল নেতা জনি হত্যা মামলাতেও তাকে ২ নম্বর আসামি করা হয়েছিলো। পুলিশের নির্যাতনে মাথা, হাত-পা ভেঙ্গেছিলো বলেও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন জয়দেব।

