জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচি দেশটির প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি চীনকে ইঙ্গিত করে এবং অভিবাসন বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেওয়ারও অঙ্গীকার করেছেন। দায়িত্ব গ্রহণের পর সরকারের সম্ভাব্য নীতি নিয়ে আজ শুক্রবার পার্লামেন্টে দেওয়া প্রথম ভাষণে এ অঙ্গীকার করেন তাকাইচি।
জাপানের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী জনমত জরিপে এখন পর্যন্ত বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছেন। পার্লামেন্টে তিনি ঘোষণা করেন, চলতি অর্থবছরেই মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করা হবে। এর ফলে সরকার নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা দুই বছর আগেই পূরণ হবে।
এমন সময় তাকাইচি এ ঘোষণা দিলেন, যখন জাপানসহ মিত্রদেশগুলোকে সামরিক ব্যয় বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে আসা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তিন দিন পরই টোকিও সফরে আসছেন। জাপান সফরের পর তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নেবেন।
লৌহমানবী খ্যাত মার্গারেট থ্যাচারের আদর্শে অনুপ্রাণিত তাকাইচি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আসন্ন সফরের সময় তাঁর সঙ্গে ‘একটি আস্থার সম্পর্ক’ গড়ে তোলার এবং ‘জাপান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায়’ উন্নীত করারও কথা বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের আগে থেকেই কট্টর চীনবিরোধী হিসেবে পরিচিত তাকাইচি তাঁর ভাষণে আরও বলেন, চীন, উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার সামরিক কর্মকাণ্ড ‘গুরুতর উদ্বেগের কারণ’ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা যে মুক্ত, অবাধ ও স্থিতিশীল আন্তর্জাতিক ব্যবস্থায় অভ্যস্ত, সেটি ক্ষমতার ভারসাম্যের ঐতিহাসিক পরিবর্তন এবং তীব্র ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতার কারণে মারাত্মকভাবে নড়বড়ে হয়ে যাচ্ছে।’
এদিকে ক্রমেই জাপানের প্রতিরক্ষা বাজেট বৃদ্ধি এবং অস্ত্র রপ্তানিতে দেশটি বিধিনিষেধ শিথিল করায় চীন কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গুয়ো জিয়াকুন বলেন, ‘এসব পদক্ষেপ জাপানের এশীয় প্রতিবেশী এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মধ্যে গুরুতর সন্দেহ সৃষ্টি করছে যে জাপান সত্যিই কেবল আত্মরক্ষামূলক অবস্থানে এবং শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ কি না।’

