সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে অভিনয়শিল্পী আরশ খান ও সুনেরাহ্ বিনতে কামালের একটি রোমান্টিক ছবি। ছবিটি প্রকাশের পরপরই ভক্ত ও সহকর্মীদের মন্তব্য জমা হচ্ছে। কেউ অভিনন্দন জানাচ্ছেন, কেউ শুভকামনা জানিয়ে আবেগ প্রকাশ করছেন। আবার কেউ কেউ লিখছেন, ‘নাটকের দৃশ্য’। একটি ছবি—আর তাতেই শুরু নানা রকম ব্যাখ্যা ও গুঞ্জন।
এই আলোচনার মাঝেই সুনেরাহ্ আছেন সম্পূর্ণ ভিন্ন এক বাস্তবতায়—মাইনাস ডিগ্রি তাপমাত্রায় নেপালের পাহাড়ি অঞ্চলে শুটিংয়ে ব্যস্ত। ছবি নিয়ে জানতে চাইলে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ফোনের ওপাশ থেকে তাঁর কণ্ঠে ক্লান্তির সঙ্গে ঠান্ডার কাঁপুনিও ধরা পড়ে। ‘আমি এখন মাইনাস ডিগ্রি তাপমাত্রায় কাঁপছি’, হেসে বলেন অভিনেত্রী।
নেপাল থেকে তিনি জানান, ছবিটি পোস্ট হওয়ার পর নাটক ও সিনেমা–সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গ্রুপে সেটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়লেও এসব নিয়ে তেমন কিছুই জানার সুযোগ হয়নি তাঁর। কারণ, টানা শুটিং। ‘এখানে এখন মাইনাস ডিগ্রিতে কাজ করতে হচ্ছে। মেকআপ নেওয়ার সময়ও কাঁপুনি থামে না। এত শীত আগে জানলে শুটিংয়ে আসতাম কি না, তা জানি না’, বলেন সুনেরাহ্।
তবে কঠিন আবহাওয়ার মধ্যেও কাজের আনন্দ হারাননি তিনি। কারণ, পরিচালক তানিম রহমান অংশুর ওপর তাঁর আস্থা অটুট। ‘অংশু ভাইয়ার কাজের ওপর আমার ভরসা আছে। সেই বিশ্বাস থেকেই এমন পরিস্থিতিতেও কাজটি উপভোগ করছি। এখানে দারুণ একটি লুকে অভিনয় করছি’, যোগ করেন তিনি।
ছবিটির পেছনের গল্প ভিন্ন। সুনেরাহ্ বলেন, ‘বেশ কিছুদিন আগে আমরা থাইল্যান্ডে গিয়েছিলাম। সেখানে একসঙ্গে ছয়টি নাটকের শুটিং করেছি। সব নাটকেই সহশিল্পী ছিলেন আরশ খান। শুটিংয়ের ফাঁকে সাধারণত ছবি তোলা হয় না। একটি দৃশ্যধারণের সময় এই ছবি তোলা হয়েছিল। ছবিটা আমার খুব ভালো লেগেছিল, তাই ফেসবুকে পোস্ট করি। এরপর কে কী লিখছেন বা বলছেন—সেসব আমি জানি না। আমি পুরোপুরি শুটিং নিয়েই ব্যস্ত।’
তানিম রহমান অংশুর সঙ্গে নাটক, নাকি ওটিটির কোনো কাজ—এ প্রশ্নে সুনেরাহ্ আপাতত রহস্যই বজায় রাখলেন। ‘এটা একটা সারপ্রাইজ। এখনই কিছু বলতে চাই না। তবে খুব শিগগির কাজটি মুক্তি পাবে। কাজটি নিয়ে আমি দারুণ আশাবাদী। মনের মতো একটি কাজ করেছি’, বলেন তিনি।
১৮ ডিসেম্বর নেপালে যান সুনেরাহ্ বিনতে কামাল। আজ শুটিং শেষ করে তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।

