সর্বশেষ ১১ ম্যাচের ১০টিতেই হার। কিছুদিন আগেও যে সংস্করণে সবচেয়ে ভালো খেলত, সেই ওয়ানডেতেই এখন সবচেয়ে বাজে অবস্থা বাংলাদেশের। বাজে ফর্মের প্রভাব পড়েছে র্যাঙ্কিংয়ে। ১৯ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ এখন আছে সর্বনিম্ন ১০ নম্বরে। তাতে ২০২৭ বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নেওয়াটাও পড়েছে শঙ্কায়। ২০২৭ সালের ৩১ মার্চ ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ে সেরা নয়ে না থাকলে বাছাইপর্ব খেলতে হতে পারে বাংলাদেশকে। আর সেই বিশ্বকাপের সহ-আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা যদি আটের বাইরে চলে যায় তাহলে থাকতে হবে সেরা আটে।
আর কত ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশ সরাসরি বিশ্বকাপে যাবে কিংবা আর কত ম্যাচ হারলে বাছাইপর্ব খেলতে হবে, সেটি এখনই বলা মুশকিল। আগামী দেড় বছরে ওয়ানডেতে ব্যস্ত সময়ই কাটাবে বাংলাদেশ। আট সিরিজে ২৪টি ম্যাচ খেলা তো নিশ্চিতই।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শেষ করেই ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। আফগানিস্তানের কাছে ধবলধোলাই হলেও, ক্যারিবীয়দের ৩-০ ব্যবধানে হারালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে টপকে বাংলাদেশ নয়ে উঠে যাবে।
য়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের পর বাংলাদেশ আবার ওয়ানডে খেলবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর মার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এরপর নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড, ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। প্রতিটি সিরিজই তিন ম্যাচের। এর মধ্যে আগামী মার্চ-এপ্রিলে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড, জুনে অস্ট্রেলিয়া ও সেপ্টেম্বরে ভারতের বিপক্ষে ঘরের মাঠে খেলবে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে, আয়ারল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ তিনটি দেশের বাইরে খেলবে বাংলাদেশ।
০২৬ সালের নভেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের পর ২০২৭ সালে মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের আর ওয়ানডে নেই। তবে বিসিবি সূত্র জানিয়েছে, ওই সময়েও নতুন কোনো সিরিজ আয়োজন করা হতে পারে।
পথটা দীর্ঘ। এতটা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ২০২৭ সালের ৩১ মার্চ বাংলাদেশের অবস্থান কী হবে কে জানে।
সামনে বাংলাদেশের যত ওয়ানডে সিরিজ
| সময় | বিপক্ষ | ম্যাচ |
|---|---|---|
| অক্টোবর ২০২৫ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | ৩ |
| মার্চ–এপ্রিল ২০২৬ | পাকিস্তান | ৩ |
| এপ্রিল ২০২৬ | নিউজিল্যান্ড | ৩ |
| জুন ২০২৬ | অস্ট্রেলিয়া | ৩ |
| জুলাই ২০২৬ | জিম্বাবুয়ে* | ৩ |
| আগস্ট ২০২৬ | আয়ারল্যান্ড* | ৩ |
| সেপ্টেম্বর ২০২৬ | ভারত | ৩ |
| নভেম্বর ২০২৬ | দক্ষিণ আফ্রিকা* | ৩ |

