১. নিজেকে ব্যাখ্যা করা বন্ধ করুন
‘ওভার এক্সপ্লেইনিং’ করে আপনি মানুষকে আপনার অবস্থান বা উদ্দেশ্য বোঝাতে পারবেন না। বরং কর্মের ভেতর দিয়ে কথা বলুন। প্রয়োজনীয় কথা বলুন। যে যত কম কথা বলে, মানুষ তার কথা তত গুরুত্ব দিয়ে শোনে।
২. আবেগ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
আপনি যখন প্রতিনিয়ত নিজের হতাশা, রাগ, দুঃখ ইত্যাদি প্রকাশ করতে থাকেন, তখন আপনাকে ‘পড়ে ফেলা’ সহজ হয়। আর যাঁদের পড়ে ফেলা কঠিন, যাঁরা রহস্যময়, আবেগ নিয়ন্ত্রণে দক্ষ, তাঁরাই অধিক সম্মানিত হন। ফলে কথা বলে রাগ উগরে না দিয়ে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করুন।
৩. অন্যের সমর্থন খুঁজতে যাবেন না
যাঁরা দুর্বল ব্যক্তিত্বের মানুষ, তাঁরাই প্রতিনিয়ত অন্যের সায়, অনুমোদন, সমর্থন খোঁজেন। আত্মবিশ্বাস কম থাকলে তাঁরা আশপাশে ‘ইয়েস ম্যান’দের রাখেন। এটা আত্মবিশ্বাসের অভাবেরই বহিঃপ্রকাশ।
৪. দেয়াল তুলে দিন
নিজেকে সহজলভ্য করে তুলবেন না। আপনার ব্যক্তিত্বের দেয়াল এমন হতে হবে, সবাই যেন সেটা বেয়ে আপনার পর্যন্ত পৌঁছাতে না পারেন। নিজের মানসিক শান্তি রক্ষার জন্যও দেয়াল তোলার কোনো বিকল্প নেই। ‘না’ বলার অভ্যাস রাখুন।

৫. শান্তভাবে সামাল দিন
যেকোনো পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে মোকাবিলা করার কোনো বিকল্প নেই। খুব কম মানুষই তা পারেন। আর এ কারণেই তাঁরা অন্যের চোখে সম্মানের পাত্র। অল্পতেই যাঁরা খেই হারিয়ে ফেলেন, তাঁদের সম্মান অর্জন কঠিন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন
অকারণে মানুষ আপনাকে আঘাত করে? এর পেছনেও থাকতে পারে এই ৪ কারণ
৬. যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজের কথা রাখুন
ভালোবাসা অর্জনের চেয়ে বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন বেশি গুরুত্বপূর্ণ, বেশি চ্যালেঞ্জিং। আর সে জন্য কথা দিয়ে কথা রাখার কোনো বিকল্প নেই। কাউকে যদি আপনি কিছুর আশ্বাস দিয়ে থাকেন, সেটা পূরণের চেষ্টা করুন। সেই সময়ে যদি তার চেয়ে বড় সাফল্য হাতছানি দেয়, তবু আপনি আগের কথা রাখার চেষ্টা করুন। এতেই আপনার সম্মান অক্ষুণ্ন থাকবে।

৭. সহানুভূতির চর্চা
অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া, অন্যের মতামতকে সম্মান জানানো, অন্যের কথা মন দিয়ে শোনা মানুষের চরিত্রের অন্যতম শক্তিশালী দিক। তাই এই গুণগুলো চর্চার সুযোগ পেলে তা হাতছাড়া করবেন না।

